ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ না হওয়ায় সেখানে সরাসরি সৈন্য পাঠাতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটিতে ব্যাপক পরিমাণ সামরিক অস্ত্র পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের সব কর্মীর পরিবারকে দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, এ মুহূর্তে রাশিয়া ভ্রমণ না করতে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যও কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। জাপানও ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার মধ্যেই মস্কোর তরফে একটি নৌ-মহড়ার ঘোষণাও এসেছে। এমনকি ইউক্রেন সীমান্তের চার হাজার মাইলেরও বেশি এলাকাজুড়ে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে গত সপ্তাহে যুদ্ধ ট্যাংক, সেনা ও অন্যান্য সামরিক যান বহন করতে সক্ষম ছয়টি রাশিয়ান ল্যান্ডিংশিপ ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়।
অপরদিকে সোমবার (২৪ জানুয়ার) সিএনএন জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন পূর্ব ইউরোপে পাঠাতে চায়, এমন নির্দিষ্ট সামরিক ইউনিট চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের শুধু এটা নিশ্চিত করতে চায় যে, যেকোনও প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি আছে।