ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু হওয়ার কারণে, অনেকেই চিন্তামুক্ত আছে। কিছুদিন আইসোলেশনে থাকার মাধ্যমে অনেক ওমিক্রন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, ওমিক্রন দিয়েই বোধ হয় শেষ হবে করোনা আতঙ্ক!
তার মাঝেই আবার উদ্বেগ বাড়ালো করোনার নতুন ধরন নিওকোভ। চীনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ করোনাভাইরাসটি নিয়ে এখন আরও গবেষণার প্রয়োজন। মানুষের জীবনে এই ভাইরাস কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেছেন।
এরই মধ্যে অনেক বিশেষজ্ঞরাই ধারণা করছেন, এটি হতে পারে করোনার সবগুলো ধরনের চেয়ে আরও বেশি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না, এই ভাইরাস শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে। এটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।
বারবার ধরন পাল্টে ভয়ানক আকার ধারণ করছে করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র তরফে জানানো হয়েছে, উহান গবেষকদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস, নিওকোভ খুঁজে পেয়েছেন।
এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, নিওকোভ ভাইরাস আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চীনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ করোনা ভাইরাসটি নিয়ে আরও অনেক উন্নতমানের গবেষণার প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাস হলো ভাইরাসের একটি বড় পরিবার। যা সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, মানব শরীরে ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগের উৎস বন্য প্রাণী। করোনা ভাইরাস প্রায়শই বাদুড়ের মতো প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়।
ওই গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে, নিওকভ ভাইরাসটিও কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতোই মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বায়োর্জিভে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার প্রি-প্রিন্ট।
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নিওকোভের মাত্র একটি মিউটেশন হলেই মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। নিওকোভ ভাইরাসটির সঙ্গে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম অর্থাৎ মার্সের অনেকটাই মিল আছে।
২০১২ সালে এই রোগটি প্রথম সৌদি আরবের নাগরিকদের মধ্যে শনাক্তকরণ করা হয়েছিল। গবেষণায় বলা বলা হয়েছে, মার্স-এর সঙ্গে নিওকোভের ৮৫ শতাংশ মিল আছে। মার্স সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ, কোভিডের চেয়ে যা বহু গুণ বেশি। তাই নিওকোভ নিয়েও উদ্বেগে আছেন বিজ্ঞানীরা।