সেই সময়ের হিসাবে জানা গিয়েছিল, আগের দুই বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০৮ শতাংশ। সেই জায়গায় আম্বানির একই সময়ে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০ শতাংশের মতো। প্রসঙ্গত, ফোর্বস পত্রিকার ‘রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ’-এর হিসাব বলছে, বিশ্বের ১১তম ধনীর জায়গাও এখন আদানির দখলে। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে পতন হলেও আদানি গ্রুপ খুব একটা ধাক্কা খায়নি। তাতেই এই উত্থান বলে দাবি করা হয়েছে।
সর্বশেষ হিসাব বলছে, আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। সেখানে আম্বানির ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক ও দুই নম্বরে আছেন আদানি ও আম্বানি। এরপর প্রথম পাঁচে আছেন যথাক্রমে শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি ও লক্ষ্মী মিত্তাল।
গুজরাটকেন্দ্রিক আদানি গ্রুপ মূলত বন্দরসংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হলেও এখন বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। চলতি মাসেই আদানি গোষ্ঠী ইস্পাত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধি করতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি ‘পস্কো’র সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিনিয়োগ হতে পারে প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি রুপির। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের উপস্থিতিতে সমঝোতাপত্র সই করে আদানিরা।
অন্যদিকে গুজরাটে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে চলেছে আম্বানির রিলায়েন্স। গুজরাটে মোট ৫ দশমিক ৯৫ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের জন্য সমঝোতাপত্র সই করেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। ১০০ গিগাওয়াটের অপ্রচলিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও হাইড্রোজেন শক্তি উৎপাদনের ব্যবস্থা গড় তুলতে তারা ৫ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে। এ জন্য জমি দেখার কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া সৌরবিদ্যুৎ, ব্যাটারি স্টোরেজসহ চারটি কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ হবে প্রায় ৬০ হাজার কোটি রুপি। বাকি বিনিয়োগ হবে গোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যবসায়।
গুজরাটে বিনিয়োগ করা নিয়ে আম্বানি-আদানি পরস্পরের সঙ্গে জোর লড়াইয়ে নেমেছেন বলেই দেখা যাচ্ছে।