মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় শুধু জেনারেল সাইডের কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন ৩৯ হাজার টাকা দিতে হবে। এছাড়া ক্যাশ সাইডের কর্মকর্তাদের ৩৬ হাজার টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০১৩ সালে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক ও পরে স্থাপিত ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত জেনারেল সাইডের কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ৩৯ হাজার টাকা। এছাড়া ক্যাশ সাইডের কর্মকর্তাদের বেতন হবে ৩৬ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এর মধ্যে মূল বেতন আগামী এপ্রিল থেকে দিতে হবে। এবং অবশিষ্ট ভাতাদি দিতে হবে পরের বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক চাইলে চলতি এপ্রিল মাস থেকেই বেতন ও ভাতা দিতে পারবে।
সার্কুলারে বলা হয়, নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি কার্যকর করার পর একই পদে পূর্ব থেকে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই ব্যাংকগুলোতে শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মরত এন্ট্রি লেভেলের জেনারেল পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন হবে সর্বসাকুল্যে ২৮ হাজার টাকা। এছাড়া ক্যাশ সাইডের কর্মকর্তাদের বেতন হবে ২৬ হাজার টাকা।
এতে আরও বলা হয়, নতুন নির্ধারিত বেতন এবং বর্তমানে প্রাপ্ত সাকুল্য বেতনের সঙ্গে যে পার্থক্য হবে— তার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ চলতি এপ্রিল হতে দিতে হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ ২০২৩ এপ্রিল হতে দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকের অন্যান্য শাখার কর্মীদের বেতন নির্ধারণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ সব বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়ক/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২৪ হাজার টাকা।
একই পদে অন্যান্য জেলা শহরের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২১ হাজার টাকা ও উপজেলা শহরের ১৮ হাজার টাকা। অপরদিকে বেতন-ভাতাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আউটসোর্সিং কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।