সম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের ১১ মাসে ভারতের চা রফতানি কমে ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার কেজিতে নেমেছে। যার পরিমান গত বছর ছিল ১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার কেজি।
কনটেইনারের তীব্র সংকট থাকার কারনে রফতানি কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা। এছাড়া উচ্চমাত্রার জাহাজ ভাড়া ও ইরানের সঙ্গে মূল্য পরিশোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতাও রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
যেসব অঞ্চল ভারত থেকে চা আমদানি করে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্লক কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস (সিআইএস)। গত বছরের ১১ মাসে ব্লকটি ভারত থেকে ৪ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা আমদানি করে। যা ২০২০ সালে ছিল ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার কেজি।
ইরান গত বছরের ১১ মাসে ভারত থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার কেজি চা আমদানি করে। যা ২০২০ সালে ছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ কেজি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটেনে ভারতীয় চায়ের বড় বাজার রয়েছে।
ভারতীয় চা বোর্ড বলছে, রফতানি কমলেও ১১ মাসে চা রফতানি থেকে ভারতের আয় ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি ৪৭ লাখ থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ৮৮ লাখ রুপিতে উন্নীত হয়।
আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর ভারতের চা বাগানগুলো মোট চা উৎপাদনের ৮৪ শতাংশই সরবরাহ করে। অঞ্চলটির উৎপাদন ৭ কোটি ৭৭ লাখ কেজি কমে ১০৯ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার কেজিতে নেমেছে। তবে দক্ষিণ ভারতে উৎপাদন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার কেজি বেড়েছে।