মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সংখ্যক সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর পুতিন একথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সংখ্যক সেনা সামরিক ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ‘দায়িত্বপালন শেষে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক জেলার অধীনস্ত ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনগুলোতে আসন গ্রহণ করতে শুরু করছে এবং আজই তারা সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।’
এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও মঙ্গলবার জানান, সীমান্তে সামরিক মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর একাংশকে সামরিক ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মস্কো সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্য করা হবে না বলে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাশিয়াকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এটি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো নিশ্চয়তা নয়।
পুতিনের ভাষায়, ‘আমাদের এই বিষয়টি এখনই সমাধান করা উচিত... এবং আমরা আশা করি (রাশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে) আমাদের যে উদ্বেগ রয়েছে সেটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপে অবশ্যই আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আর এজন্যই আমরা আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। ফলাফল হিসেবে রাশিয়াসহ সব দেশের জন্য সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের একটি চুক্তি হতে পারে।’