ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। ভারতের প্রধান ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি এই প্রতারণায় বিধ্বস্ত হয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি মাঝারি ও ছোট ব্যাংক। ভারতের অর্থনীতিবিষয়ক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট ইতিমধ্যে এই কোম্পানি ও তার প্রধানদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ মামলার তদন্ত শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
তবে এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঋষি আগরওয়ালসহ আরও অনেক কর্মকর্তা এখনো পলাতক। তাঁরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই।
এবিজি গ্রুপের মালিকানাধীন আরও ৯৮টি কোম্পানি এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলেও সিবিআই সূত্রে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৮টি ব্যাংক পাঁচ বছরে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছে এই কোম্পানিকে, যার মধ্যে আছে এসবিআই ও আইসিআইসিআইয়ের মতো ব্যাংকও।
এবিজি গ্রুপকে ঋণ দেওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই। পাঁচ বছরে এই ব্যাংকের মোট ঋণ দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার ৮৯ কোটি রুপি। তালিকায় এরপরই আছে আইডিবিআই ব্যাংকের নাম। তাদের ঋণ দেওয়া মোট অঙ্ক ৩ হাজার ৬৩৯ কোটি।
জালিয়াতির অঙ্ক অনেক বড় হলেও তারা যেভাবে ২৮টি ব্যাংকের জোটকে ঘোল খাওয়াল, তা দেখেই কপালে চোখ উঠেছে সিবিআইয়ের।