চলতি বছরের প্রথম মাসে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে বিতরণ হয়েছে দুই হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে বিতরণ হয়েছিলো ৩ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। সেই হিসেবে মাসের ব্যবধানে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরই মধ্যে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই- জানুয়ারি) কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ১৭ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এটি লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ঋণ বিতরণ ২ হাজার ৯০৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ১৪ হাজার ১৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা বিতরণ করে ব্যাংকগুলো, যা ছিলো ব্যাংক খাতের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে, নভেম্বর মাসে ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, অক্টোবরে ২ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা: সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হওয়ায় সামগ্রিকভাবে কৃষিঋণ বিতরণে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছিল ২১ শতাংশ। গত আগস্টে ১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। জুলাইয়ে বিতরণ করা কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৯৪২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কৃষি ও পল্লীঋণ খাতে ১৭ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোভিড মহামারিতে উৎপাদন খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ কম থাকায় বেসরকারি ও শিল্প ঋণের পরিমাণ খুবই কম ছিল। তবে খাদ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকার কৃষি খাতে প্রণোদনা ঋণসহ স্বাভাবিক ঋণ বিতরণে গুরুত্ব দিয়েছে। এতে বাড়ছে কৃষি ঋণ বিতরণ। এছাড়া অনেকে চাকরি হারিয়ে গ্রামে নতুন করে কৃষি কাজ শুরু করায়ও ঋণ বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ব ৮টি ব্যাংকে কৃষি খাতে চলতি অর্থ-বছরের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বিতরণ করেছে তারা। তবে বেসিক ব্যাংক ঋণ বিতরণের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। ব্যাংকটি এ সময়ে মাত্র ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।
অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের জন্য বেসরকারি ৪১ টি ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। সাত মাসে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৫৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ৭টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বিশ শতাংশের কম। এছাড়া, কয়েকটি ব্যাংক ৫ শতাংশও ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কিছুটা বাড়লেও আদায়ের পরিমাণ কমেছে। এ সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে কৃষিঋণ আদায় আরও বেশি ছিল। গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিল ১৬ হাজার ৫৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে কৃষিঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরই মধ্যে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই- জানুয়ারি) কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ১৭ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এটি লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ঋণ বিতরণ ২ হাজার ৯০৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ১৪ হাজার ১৪৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা বিতরণ করে ব্যাংকগুলো, যা ছিলো ব্যাংক খাতের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে, নভেম্বর মাসে ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, অক্টোবরে ২ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা: সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হওয়ায় সামগ্রিকভাবে কৃষিঋণ বিতরণে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছিল ২১ শতাংশ। গত আগস্টে ১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। জুলাইয়ে বিতরণ করা কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৯৪২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কৃষি ও পল্লীঋণ খাতে ১৭ হাজার ৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ০৭ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, কোভিড মহামারিতে উৎপাদন খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ কম থাকায় বেসরকারি ও শিল্প ঋণের পরিমাণ খুবই কম ছিল। তবে খাদ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকার কৃষি খাতে প্রণোদনা ঋণসহ স্বাভাবিক ঋণ বিতরণে গুরুত্ব দিয়েছে। এতে বাড়ছে কৃষি ঋণ বিতরণ। এছাড়া অনেকে চাকরি হারিয়ে গ্রামে নতুন করে কৃষি কাজ শুরু করায়ও ঋণ বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ব ৮টি ব্যাংকে কৃষি খাতে চলতি অর্থ-বছরের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বিতরণ করেছে তারা। তবে বেসিক ব্যাংক ঋণ বিতরণের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। ব্যাংকটি এ সময়ে মাত্র ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।
অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের জন্য বেসরকারি ৪১ টি ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। সাত মাসে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৫৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ৭টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বিশ শতাংশের কম। এছাড়া, কয়েকটি ব্যাংক ৫ শতাংশও ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিঋণ বিতরণ কিছুটা বাড়লেও আদায়ের পরিমাণ কমেছে। এ সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে কৃষিঋণ আদায় আরও বেশি ছিল। গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিল ১৬ হাজার ৫৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে কৃষিঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
