ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমস, টেলিগ্রাফ ও ডেইলি মেইলে এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইতোমধ্যে অন্তত ৫০ জন ক্রেতাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া করোনার সংকট মোকাবিলায় ৫৭০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সহযোগিতা চেয়ে যে আবেদন করেছে সংস্থাটি, ব্রিটিশ সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
গত সপ্তাহে রিচার্ড ব্রেনসন ঘোষণা দেন, মহামারি এই করোনার সংকটে সরকারের আর্থিক সহায়তা অবশ্য প্রয়োজনীয়। সংকট কাটাতে সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে এয়ারলাইন্স টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি। অনেক বলেছেন, কোম্পানি বিক্রির জন্য মে মাসের শেষ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
একটি খোলা চিঠিতে ব্রানসন আরও বলেছেন, কোম্পানির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তার সামর্থ্যের সবটুকুই করবেন। তবে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রের বরাতে বলছে, সরকারের সঙ্গে ভার্জিন আটলান্টিকের আলোচনা এখনো চলছে। এ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী এয়ারলাইন্সটির সূত্র তাদেরকে জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা ‘চলমান ও গঠনমূলক’ পর্যায়ে রয়েছে। তবে সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তারা একইসঙ্গে বেসরকারি খাত থেকে নগদ অর্থের যোগানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ক্রেতা পাওয়ার ক্ষেত্রে মে এর সময়সীমার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ভার্জিন এয়ারলাইন্সের সূত্র বিবিসিকে বলেছে, ‘মহামারি করোনাভাইরাসে কারণে তৈরি অচলাবস্থার কারণে আমাদের ব্যবসায়ে যে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তাতে করে আমরা প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সম্ভাব্য সব উপায় থেকে নগদ অর্থ যোগানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমান পরিবহন সংস্থা ভার্জিন আটলান্টিকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। সংস্থাটিতে ৮ হাজার ৫০০ এর বেশি কর্মী রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে সংস্থাটি। কিন্তু করোনার কারণে দুই মাস ধরে কার্যক্রম প্রায় বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতি।