কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সাবির মোমান্দ বলেন, ডলারের মূল্য শর্তের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। আমরা বাজারে ডলার বিক্রি করি। ডলার বিক্রির পরবর্তী রাউন্ড পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, আফগান বাজারে ডলার বিক্রি করা আফগান মুদ্রাকে সাময়িক সময়ের জন্য তার মূল্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে আফগান মুদ্রার স্থিতিশীলতার জন্য সরকারের উচিত এ সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান করা।
আফগানিস্তানের অর্থনীতিবিদ সিয়ার কুরেশি বলেন, আমাদের উচিত বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। যখন বিদেশি মুদ্রা আফগানিস্তানে প্রবেশ করবে, তখন এটি মুদ্রার মূল্য স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের সময়েও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু তালেবান প্রশাসন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে থাকা আফগানিস্তানের রিজার্ভসহ বিভিন্ন তহবিলের অর্থ আটকে দিলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।
কিছু দেশ মানবিক সাহায্য করলেও সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশের মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছে। এ অবস্থার দেশটির মুদ্রামান দ্রুত কমে যাচ্ছে। গত ছয় মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগান মুদ্রা উল্লেখযোগ্যভাবে তার মূল্য হারিয়েছে।
আফগানিস্তানের আরেকজন অর্থনীতিবিদ শাকির ইয়াকোবি বলেন, নগদ ব্যবস্থাপনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম। বাজারে পণ্যের উপস্থিতির মাধ্যমেই নগদ মূল্যের স্থিতিশীলতা লাভ করা যায়। এটি ঠিক করতেই বর্তমান প্রশাসনের চেষ্টা চালানো উচিত।