ইউক্রেনে সামরিক অভিযানকে তিনি ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অনাকাঙ্খিত এবং অযৌক্তিক আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন। এটি কেবল বিপর্যয়কর জীবনহানি এবং মানুষের দুর্ভোগই সৃষ্টি করবে। ইউক্রেনের মানুষের পক্ষে সারা বিশ্বের প্রার্থনা রয়েছে।’
ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই হামলায় যে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হবে তার দায় রাশিয়ার একার। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ এবং অংশীদাররা ঐক্যবদ্ধ ও কঠোরভাবে এই হামলার জবাব দেবে। বিশ্ব রাশিয়াকে জবাবদিহি করবে।’
এই হামলার ফলাফল স্বরূপ রাশিয়াকে যে পরিণতি ভোগ করতে হবে সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিনিদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে বসে তিনি ইউক্রেনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার সকালে জি৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
জো বাইডেনের ভাষায়, সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ’ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। শেষে বাইডেন বলেন, ‘আজ রাতে আমি ও (ফার্স্ট লেডি) জিল ইউক্রেনের সাহসী ও গর্বিত মানুষের জন্য প্রার্থনা করছি।’
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। কিছুক্ষণ আগে এ ঘোষণা দেন তিনি। পুতিনের এ ঘোষণা দেওয়ার ভাষণটি যখন টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছিল একই সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছিল; যেখানে তাকে থামানোর আহ্বান জানানো হয়।
একই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাও। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে মাত্রই পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।’
তিনি আরও বলেছেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন রুখে দাঁড়াবে এবং বিশ্বকে অবশ্যই পুতিনকে থামাতে হবে।