দেখা যায় ৭ বছরের বেশি সময় পর আবারও প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। একইসাথে এশিয়ান স্টক মার্কেটে ২-৩ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
এর আগে গত সোমবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশকে রাশিয়া রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৯৯ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলারে উঠেছিল।
বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের প্রতি ১০ ব্যারেলের মধ্যে একটি আসে রাশিয়া থেকে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন পুতিন। এরপরেই ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য। পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের যেসব সেনাসদস্য রয়েছেন তারা অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে যান।
তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে আসা হুমকির প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেন দখল করার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই। কোনো রক্তপাত হলে তার জন্য ইউক্রেনই দায়ি হবে।
এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সৈন্য এবং হাজার হাজার যুদ্ধ যান জমা করেছে। অন্য দেশের ভূখণ্ডে এই পদক্ষেপ ইউরোপ মহাদেশে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুতিন এর কোনো জবাব দেননি। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ শান্তি চায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যদি তারা (রাশিয়া) আক্রমণ করে, যদি তারা আমাদের স্বাধীনতা, শিশুদের জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আমরা নিজেদের রক্ষা করব।
সূত্র : বিবিসি