সোমবার (২৭ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, মহামারির কারণে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ পার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ২ হাজার ৩০৩ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ১০১ জনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৩ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরোপ করা হয় কঠোর লকডাউন। অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউন শিথিল শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
সোমবার ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘আমাদের সামনে দীর্ঘ রাস্তা আর করার মতো অনেক কাজ পড়ে রয়েছে।’ করোনা মহামারি ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের কারণে সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় বিশ্বের ২১টি দেশে অন্যান্য রোগের প্রতিষেধকের ঘাটতি পড়েছে বলে জানান তিনি। সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘সেটা ঘটতে দেওয়া যায় না, আমরা সহায়তা দেওয়ার জন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।’