বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের কাছ থেকে করোনাভাইরাস দ্রুত শনাক্ত করার এসব কিট পাওয়ার পর এগুলো ত্রুটিপূর্ণ বলে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চীন থেকে কিট আমদানির এই অর্ডার বাতিল করেছে।
বিভিন্ন রাজ্যে যেসব কিট পাঠানো হয়েছিল দিল্লি সেগুলো ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চীনে উৎপাদিত এসব কিট ৩০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষার ফল জানাতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিটগুলোর গুণগত মান ত্রৃটিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলোর ব্যবহার বাতিল করে ভারত। এরপর তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
চীন বলছে, তারা তাদের পন্যের গুণগত মানের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এদিকে চীনের গুয়াংঝু ওন্ডফো বায়োটেক এবংঝুহাই লিভজোন ডায়াগনোস্টিকসের তৈরি কিটকে কাজের অযোগ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
চীনের দুটি কোম্পানি ভারতে ত্রুটিপূর্ণ কিট সরবরাহ করা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে তীব্র বিতর্কের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সরকার জানায়, যেসব চীনা কোম্পানি ত্রুটিপূর্ণ কোভিড-১৯ টেস্ট কিট সরবরাহ করেছে; তাদেরকে এক রুপিও দেয়া হবে না। একই সঙ্গে চীনা কোম্পানির কিটের অর্ডারও বাতিল করেছে ভারত।
কোভিড-১৯ শনাক্তে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট আর ব্যবহার করবে না বলে ভারত সরকারের দেওয়া ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। বেইজিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আশা করছে যুক্তিসঙ্গতভাবে ভারত এই ইস্যুটির সমাধান করবে।
দিল্লিতে চীনে দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেছেন, ‘কিটের গুণগত মান নির্ণয়ের পর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের দেওয়া ফলাফল ও সিদ্ধান্তে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রফতানিকৃত চিকিৎসা সেবা পণ্যের গুণগত মানের ক্ষেত্রে সবসময় ব্যাপক গুরত্ব দিয়ে আসছে চীন। তাই চীনা পণ্যকে ভেজাল ও ত্রৃটিপূর্ণ বলা অন্যায্য।’