বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে দুই নেতার মধ্যে এ ভিডিও আলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউসসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের শহরগুলো ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে বর্বর হামলা চালানো রাশিয়াকে যদি চীন উপাদানগত সমর্থন যোগায়, তাহলে যে প্রভাব ও পরিণতি হবে তা তুলে ধরেছেন বাইডেন।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, বাইডেনের সতর্কবার্তার উত্তরে শি জিনপিং বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সংকট এমন একটি ঘটনা যা আমরা দেখতে চাই না।’
শি বাইডেনকে বলেছেন, ‘ইউক্রেইনে যে লড়াই-সংঘর্ষ চলছে তেমন সংঘাত কারোরই উপকারে আসে না। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক সংঘাতের পর্যায়ে যাওয়া উচিত না। আর সংঘাত এবং সংঘর্ষ কোনো দেশেরই স্বার্থের পক্ষে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সঠিক পথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরিচালিত করা এবং দুই পক্ষেরই আন্তর্জাতিকভাবে যে দায়িত্ব পালন করার আছে তা কাঁধে তুলে নিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করা।’
এছাড়াও, সংঘাতের পেছনের কারণগুলো সমাধানে ন্যাটোর রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শি।
যদিও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে চীন এ পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি। ওয়াশিংটনের ভয়, বেইজিং সম্ভবত মস্কোকে আর্থিক ও সামরিক সমর্থন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে রাশিয়া ও চীন, উভয়েই এমন কোনো কিছুর কথা অস্বীকার করেছে।