এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সে কারণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটির রকেট শিল্প বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ চার কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেসারি অফিস অব ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি)।
এগুলো হলো-আনচন ট্রেডিং কর্পোরেশন, সাংনিসান ট্রেডিং কর্পোরেশন, হাপজানগাং ট্রেডিং কর্পোরেশন এবং কোরিয়া রৌসান ট্রেডিং কর্পোরেশন।
গত মাসের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া পূর্বদিকে সন্দেহজনক একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। গত বছরও বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। অক্টোবরের শুরুতে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ উভয় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।