ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো ও প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন যে সহযোগিতার কথা বলেছেন তা প্রত্যাশিত ছিল। কারণ এর আগে দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে সংসদে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় তাদের সরকার। এতে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে নিনিস্তো ও মারিন জানান, ন্যাটোতে যোগ দিলে ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার হবে। পাশাপাশি ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী হবে। দেরি না করে ফিনল্যান্ডকে অবশ্যই জোটটিতে যোগ দিতে আবেদন করতে হবে। এ ব্যাপারে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
এরপরই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ফিনিশ সরকার পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এ পদক্ষেপের জন্য হেলসিঙ্কিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে ও সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়া ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, নিরাপত্তার ওপর হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়া যেকোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সেটা হতে পারে সামরিক কিংবা কৌশলগত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দেশ দুইটির মধ্যে এখনো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ৬০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে।