নেপালের অভ্যন্তরীণ রুটের এই ফ্লাইটটি পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাচ্ছিল। তবে ভ্রমণের সময় মাঝ-আকাশেই নিখোঁজ হয় বিমানটি। রোববার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার সকালে মাঝ-আকাশে হঠাৎই হারিয়ে যায় নেপালের একটি ফ্লাইট। তারা এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি ১৯ জন যাত্রী নিয়ে পোখরা থেকে জমসমের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছ, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে হঠাৎই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটির ১৯ যাত্রীর মধ্যে ৪ জন ভারতীয় ও ২ জন জাপানি নাগরিক। অন্যরা নেপালি নাগরিক। এছাড়া বিমানটিতে ৩ জন ক্রুও ছিলেন। তবে চারজন ভারতীয় ছাড়া যাত্রীদের বাকি দু’জনকে বিদেশি বললেও তারা আসলে কোন দেশের নাগরিক সেটি এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তারা এয়ারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পোখরা থেকে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ভ্রমণের সময় ৯এন-এইটি বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জমসমের জেলা প্রশাসক নেত্র প্রসাদ শর্মা বলেছেন, ‘বিমানটিকে মুস্তাং জেলার জমসমের আকাশে দেখা গিয়েছিল এবং তারপরে মাউন্ট ধৌলাগিরির দিকে বিমানটি ঘুরে যায়। এরপরে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের আবাসস্থল। আর তাই এই দেশটির অভ্যন্তরীণ বিমান নেটওয়ার্কে বিস্তৃত দুর্ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। মূলত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং কঠিন পার্বত্য বিভিন্ন অবস্থানে বিমান চলাচল ব্যবস্থার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।