‘জয়েশভাই জোরদার’ ছবিতে অন্তঃসত্ত্বা নারী চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শালিনী। সবার উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় স্বভাবতই উৎফুল্ল শালিনী।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি কৃতজ্ঞ, চিত্র সমালোচকদের হাততালি পেয়েছি। অনেকে বলেছেন, বলিউডে অভিষেকের জন্য আমি অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্দায় নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য একটা নির্দিষ্ট বডি শেপ দিতে হয়েছে আমাকে।
অনেক অভিনেত্রীই ক্যারিয়ারের শুরুতে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন না। অভিষেক ছবিতে হাজির হতে চান গ্ল্যামারাস লুকে। আমি তাঁদের মতো নই। সব সময় চরিত্রকে গুরুত্ব দিই। এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যা অন্যকে প্রভাবিত করবে। তাই অভিষেক ছবিতেই অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে অভিনয় করতে কোনো আপত্তি ছিল না।’
বিটাউনের এই নবাগতা অভিনেত্রী আরও খুশি এই ছবি দিয়ে বিশেষ একটি বার্তা দিতে পেরেছেন বলে, ‘সুন্দর একটা বার্তা পৌঁছে দিতে পারব, এ জন্য চরিত্রটা করতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত হয়েছিলাম। এ ছবির অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছি। এবার নিজের ছন্দে চলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। দেশের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হতে চাই।
আমার জন্য সবচেয়ে খুশির খবর এই যে দর্শক আমার অভিনয় পছন্দ করেছে। তারা পর্দায় আমার অভিনয় দেখেছে রণবীর সিংয়ের মতো অভিনেতার বিপরীতে। রণবীর যেন বহুরূপী। যেকোনো চরিত্রেই তিনি মানিয়ে যান। সম্ভবত দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা তিনি।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অবশ্য অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত শালিনী। প্রথম ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’-তেই দুরন্ত অভিনয় করে চমকে দিয়েছিলেন।
কাকতালীয়ভাবে সে ছবির একটি দৃশ্যেও অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাই পর্দায় গ্ল্যামারাস লুক নিয়ে যে চিন্তিত নন, তা শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। শালিনী বলেছেন, ‘আমি নিজের প্রতিভায় জনপ্রিয় হতে চাই। পর্দায় কতটা সুন্দর লাগল, তা নিয়ে কিছু যায়-আসে না। কেউ যখন আমাকে সুন্দর লাগছে বলে, তখন আমি মোটেও উৎফুল্ল হই না। আমি চাই, সবাই বলুক, শালিনী পর্দায় নতুন কিছু নিয়ে এসেছে। এ জন্য সামনের সব প্রজেক্টের জন্য নিজেকে উজাড় করে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বড় পর্দায় প্রথম হলেও আগে বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন শালিনী। তবে সেটা ছিল ওয়েব ছবি। ২০২০ সালে জিফাইভের ‘বামফাড়’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। গতানুগতিক বিষয়ের জন্য সমালোচিত হলেও সে ছবিতেও শালিনীর অভিনয় প্রশংসিত হয়। কয়েক বছর ধরে ‘স্বজনপ্রীতি’ একটি বহুল চর্চিত বিষয়। তাই নতুন কেউ হিন্দি ছবিতে কাজ করলে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনতেই হয়।
এ প্রসঙ্গে শালিনী বলেন, ‘আমি জানি যে বহিরাগত হিসেবে প্রতিটা সুযোগে আমাকে প্রমাণ করতে হবে, সেরাটা দিতে হবে। “জয়েশভাই জোরদার”-এ অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। কারণ, আমাকে রণবীরের মতো অভিনেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে। আগামী দিনে টিঁকে থাকতে হলে একের পর এক সেরা পারফরম্যান্স দিতে হবে। অভিনেত্রী হিসেবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।’