রোববার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা এবং বিসি সেলিং রেট ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই দুই রেটের সমন্বয় করে একচেঞ্জ হাউজগুলো ডলার বিক্রি করবে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রস্তাব অনুসারে এ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ডলারের সংকট কাটাতে গত বৃহস্পতিবার এবিবি ও বাফেদার সঙ্গে সভায় বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো এই সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ফজলে কবির।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যাংকার গণমাধ্যমে জানায়, সংকট কাটাতে সভা ডাকা হয়েছিল। সভার সিদ্ধান্তে সংকট আরও বাড়বে। কারণ এত কম দামে প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে আসবে না। ডলারের দাম কম হওয়ায় রপ্তানি আয়ও বাধাগ্রস্ত হবে। বাস্তবতাকে স্বীকার না করে এখনো ৯০ টাকার নিচে ডলারের দাম বেঁধে রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও বাস্তবে ৯৫ টাকার উপরে ডলার কেনবেচা হচ্ছে।
সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সংকট কাটাতে নিয়মিত ভিত্তিতে রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকে ডলার নগদায়ন করতে হবে। বাফেদা ও এবিবি ডলারের এক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে, যা মেনে চলবে সব ব্যাংক। এরপরই আজ এবিবি ও বাফেদার দেওয়া রেট পর্যালোচনা করে ডলার কেনাবেচার দাম নির্ধারণ কিরে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।