ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল ব্যাচলেট বলেছেন, তেল আমদানি বন্ধের এ সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় উৎস বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক ও তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবকটি অংশ নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর এ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিলো।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এতে বেঁকে বসে হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরি চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে বলে জানা গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে তার দেশ ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে। অবশেষে আপাতত পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি বন্ধের প্রস্তাব থেকে সরে আসেন ইইউ নেতারা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা আরও বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ ছিল। কারণ, জার্মানি ও পোল্যান্ড এ বছরের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ধীরে ধীরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি বন্ধ করে দিতে স্বেচ্ছায় সম্মত হয়েছে। হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এর ফলে বাকি থাকবে ১০ থেকে ১১ শতাংশ।