লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার সময়টিতেই দেশটিতে একলাফে নতুন ৩৪ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ (কেসিডিসি)।
গত ৯ এপ্রিলের পর আক্রান্তের এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের অধিকাংশই রাজধানী সিউলের ইতেওন নাইটক্লাব, পানশালা থেকে সংক্রমিত হয়েছেন।
এ তথ্য সামনে আসার পরই রোববার মুন জে ইন সতর্ক করে বলেছেন, একগুচ্ছ মানুষের মধ্যে এ সংক্রমণই বলে দিচ্ছে "এ ভাইরাস একেবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এর শেষ নেই।” যে কোনো সময়ই ব্যাপকভাবে এর বিস্তার ঘটতে পারে।
টিভিতে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সজাগ না থাকলে চলবে না। আমরা একটি দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি সবাইকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
নতুন সংক্রমণের পর শনবারই নাইটক্লাব এবং বারগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন শহরের মেয়র। সেইসঙ্গে লকডাউনের কড়াকড়িগুলো আবার আরোপ করা হবে কিনা তাও ভেবে দেখছে সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এ ভাইরাস মোকাবেলায় দেশটি সাফল্যের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ ১০ কিংবা তার নিচে নেমে এসেছিল। গত ১০ দিনেও দেশটিতে তেমন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
এ পরিস্থিতিতেই লকডাউন শিথিল করছিল সরকার। খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল স্কুল এবং ব্যবসা বাণিজ্যও।
এরই মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ায় এক যুবকের কাছ থেকে। তিনি সিউলের নাইটক্লাবে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে তার ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৪ জনই আক্রান্ত হয়েছেন এই যুবকের কাছ থেকে, বলছে কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি)।
ওই ক্লাবগুলোতে গেছেন এমন প্রায় ১৯০০ জনকে এখন খুঁজছে কেসিডিসি। এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তারা। ক্লাবগুলোতে যারাই গেছেন তাদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা এবং ভাইরাস পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে।