এখন সব দেশকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে যে সব দেশে বেশি ছড়াচ্ছে, তাদের এখনই কিছু পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। জেনে নিন কী কী-
>> প্রথম পদক্ষেপ হলেো মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটি কীভাবে ছড়ায় ও কতটা গুরুতর তা সবাইকে জানতে হবে।
>> দ্বিতীয়টি হলো মাঙ্কিপক্সের উপসর্গসমূহ শরীরে প্রকাশ পেলে নিজ থেকেই আইসোলেশনে যেতে হবে। এতে করে আপনার পরিবার ও অন্যান্যরা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে।
>> তৃতীয়টি হলো, ফ্রন্টলাইন স্বস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যারা এ ধরনের রোগীর পরিচর্যা করছেন কিংবা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিচ্ছেন তারা অবশ্যই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখবেন।
>> চতুর্থটি হলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হবে সবাইকে। যারা বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে, তাদের উচিত অ্যান্টিভাইরাল ও ভ্যাকসিন গ্রহণ করা।
>> সর্বশেষে পেদক্ষেপ হলো, কোনো উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকেরন পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে এর চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
মাঙ্কিপক্সের বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, শরীরে ব্যথা, ঠান্ডা ও ক্লান্তি অনুভব করেন। আরও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখে ও হাতে ফুসকুড়ি-ক্ষত হতে পারে যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর লক্ষণগুলো হালকা। জানা গেছে, গুটিবসন্তের ভ্যাকসিনগুলোও মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক। তাই মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।