সোমবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশিত নথির ব্রিফিংয়ে এফডিএ পর্যালোচকরা বলেছেন, তাদের মূল্যায়নে ছোট বাচ্চাদের করোনা টিকা ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত নতুন কোনো সুরক্ষা উদ্বেগ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স বলছে, আগামী ১৫ জুন সংস্থার বাইরের উপদেষ্টাদের সঙ্গে এফডিএ’র একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আর এর আগেই ফাইজারের ট্রায়ালের তথ্যের বিষয়ে এফডিএ’র বিশ্লেষণ প্রকাশিত হলো। এখন বহিরাগত উপদেষ্টাদের সুপারিশেই ভ্যাকসিনের বিষয়ে এফডিএ’র সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হবে।
এফডিএ কর্মীরা পর্যালোচনায় বলেছেন, ‘হাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩ ডোজের প্রাথমিক সিরিজের ভ্যাকসিন ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সীদের শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর বলে দেখা গেছে।’
রয়টার্স বলছে, এর আগে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর ১০ জন উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর ওপর ফাইজারের টিকার কার্যকারিতার প্রাথমিক বিশ্লেষণে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই টিকার কার্যকারিতা ৮০.৩ শতাংশ বলে দেখা গিয়েছিল।
৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের করোনা টিকার দেওয়ার বিষয়টি এখনও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে অনুমোদিত নয়। এছাড়া ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের টিকা নেওয়ার চাহিদা কম থাকায় কতজন অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের টিকা দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আশা করছে যে, এফডিএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ফাইজারের এই ভ্যাকসিন অনুমোদন দিলে ছোট বাচ্চাদের টিকা দেওয়া ২১ জুনের মধ্যে শুরু করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ৬ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যে ব্যবহারের জন্য টিকার প্রি-অর্ডার কম রয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলে এই চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মডার্নার করোনা টিকার একটি স্টাফ পর্যালোচনা প্রকাশ করে এফডিএ। এতে বলা হয়, তাদের টিকা ৬ মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর।