তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য ভারত ঐতিহ্যবাহী চারটি ওষুধের সূত্র ধরে কাজ করছে এবং শিগগিরই এর ট্রায়াল শুরু হবে। আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানী, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথির সমন্বয়ে দেশটির ঐতিহ্যবাহী আয়ুশ মন্ত্রণালয় গঠিত।
ভারতীয় এই মন্ত্রী বলেন, আয়ুশ মন্ত্রণালয় এবং দ্য কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে চারটি আয়ুশ ফর্মুলেশন যাচাই করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই ওষুধের পরীক্ষা শুরু হবে।
তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জন্য একটি অ্যাড-অন থেরাপি এবং স্ট্যান্ডার্ড কেয়ার হিসাবে ওষুধগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করা হবে।
দ্য কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের সঙ্গে যৌথভাবে দেশটির আয়ুশ মন্ত্রণালয় ঐতিহ্যবাহী ওষুধগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক বৈচিত্র্যময় সরকারি তহবিলপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা সংস্থা হলো সিএসআইআর।
মন্ত্রী শ্রীপদ ওয়াই নায়েক বলেন, আমি নিশ্চিত এবং যথেষ্ট আশাবাদী যে আমাদের ঐতিহ্যবাহী এই ওষুধ ব্যবস্থা করোনা মহামারী জয়ের পথ দেখাবে।
পৃথিবীতে একেবারে নতুন এই ভাইরাসের সামষ্টিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। প্রতিনিয়ত রূপ বদলে ফেলা এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও বিজ্ঞানীরা রাতদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আয়ুর্বেদ অথবা অন্য কোনও ওষুধ এখন পর্যন্ত করোনা রোগীকে এককভাবে সুস্থ করে তুলতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের ওষুধের পরীক্ষা চলছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর শরীর থেকে রক্তের প্ল্যাজমা সংগ্রহ করে আক্রান্তদের শরীরে দেয়ার কথা বলেছেন।
ইতোমধ্যে কিছু দেশে এই প্ল্যাজমা থেরাপির প্রয়োগও শুরু হয়েছে। প্ল্যাজমা থেরাপি করোনার লড়াইয়ে রোগীকে সহায়তা করলেও শতভাগ সুস্থ করে তোলার কোনও রেকর্ড নেই।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৮১০ এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। দেশটিতে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
সূত্র: এনডিটিভি, এএফপি।