শনিবার (২৩ জুলাই) রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তারা বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেন। তারা জানিয়েছেন,
প্রাদেশিক রাজধানী শিরাজ থেকে ১৭৪ কিলোমিটার পূর্বের ইস্তাহবান শহরে জরুরি বিভাগের ১৫০ কর্মী সেখানে কাজ করছেন।
ইস্তাহবানের মেয়র ইউসেফ কারগারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বন্যা পরিস্থিতির বেশ কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রদেশের সংকট ব্যবস্থা বিভাগের প্রধান খলিল আবদুল্লাহি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে কমপক্ষে ৫৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত এক দশকে বারবার খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। একই সঙ্গে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের মতে অসময়ে কোথাও খরা, কোথাও বন্যা পরিস্থিতি আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ভয়াবহ বন্যায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে কমপক্ষে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রায় ২০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ফার্স প্রদেশে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় দুজনের মৃত্যু হয়।