মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে।
পুলিশি হেফাজতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। টানা আট দিন ধরে শহরে শহরে চলছে বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশাপাশি পুলিশি দমনের বিপরীতে চলছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ। কারফিউ জারি আর বিশেষ বাহিনী নামিয়েও লোকজনকে রাস্তা থেকে সরানো যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগাদা দিলো চীন।
বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘আমরা আশা করি সব ধরনের বর্ণবাদ নিরসন এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি বলেন চীন সব সময়ই বর্ণবাদী বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বর্ণবাদকে পশ্চিমা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে বেইজিং। তবে সম্প্রতি আফ্রিকানদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
গত মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজোতে বহু আফ্রিকান নাগরিককে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হয়। কোনও ভ্রমণ ইতিহাস না থাকার পরও তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। আবার অনেককে বাড়ির মালিক বের করে দিলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। এমনকি কেউ তাদের হোটেল কক্ষও ভাড়া দেয়নি।
ওই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ চীনের নিন্দা জানায়। এমনকি আফ্রিকান ইউনিয়নও চীনের কাছে জবাব দাবি করে। তবে এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা স্বীকারই করেনি বেইজিং।