গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বৈদেশিক মুদ্রানীতি’ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে চলতি হিসাব বিনিময়যোগ্য ঘোষণার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত অবস্থা থেকে বের হয়ে উদারীকরণের দিকে অগ্রসর হয়। এ ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। প্রয়োজনের নিরিখে প্রতিনিয়ত লেনদেন বিষয়ে নির্দেশনা প্রজ্ঞাপনপত্র জারির মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে অবহিত করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতির সুসময় ও ক্রান্তিকাল—উভয় ক্ষেত্রেই আপনাদের ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন ব্যবস্থার হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে না জেনে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি প্রাধিকারভুক্ত লেনদেনের বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের আবশ্যকতা রয়েছে মর্মে জানানো হয়।
বিষয়টিতে বিরক্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে এ দেশের অর্থনীতির সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগের দ্বার এর মাধ্যমে উন্মোচিত হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বিদ্যমান বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থাকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ হিসেবে গ্রাহক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হলে উদারীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ সত্ত্বেও অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এটি সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এ অবস্থায় বিদ্যমান উদার বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন ব্যবস্থা ও এ-সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার অবগত থাকা ও সে অনুযায়ী গ্রাহক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সব পক্ষকে অবহিতকরণ ও সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।