তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, প্রকৃত তথ্য হলো প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে বেশি সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সামনের দিনগুলোতে রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, যদিও ৯৫ শতাংশ আমেরিকান মাস্ক পরে, তারপরও আগামী অক্টোবরের মধ্যে এক লাখ ৪৬ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার আমেরিকান মারা যাবে করোনায়।
সিডিসির ডিরেক্টর ড. রবার্ট রেডফিল্ড বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের যে চিত্র দেখেছি, প্রকৃতপক্ষে তারচেয়ে ১০ গুণ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জোরালোভাবে করোনা টেস্টিং না করাকেই এজন্য দায়ী করছে সিডিসি। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলছে, উপসর্গবিহীন ও উপসর্গ দেখা দেয়া ব্যক্তিদের সেভাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। যে কারণে আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেক গভীরে গেছে।
সিডিসির ডিরেক্টর ড. রেডফিল্ড বলেন, গত তিন মাসে-মার্চ, এপ্রিল ও মে আমরা যেসব পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ চিহ্নিত করেছি, বলা যেতে পারে তার মাধ্যমে সম্ভবত আমরা মহামারির ১০ শতাংশ চিহ্নিত করতে পেরেছি। অর্থাৎ বাকি ৯০ শতাংশ এ পরীক্ষার বাইরে ছিল।
সিডিসির পরিচালকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর ৫-৮ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক পরা ও ঘনঘন হাতে ধোয়ার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যেহেতু আগামী শীতে করোনা পরিস্থিতিতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, এজন্য এসব মেনে চললে (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক পরা ও ঘনঘন হাতে ধোয়া) সত্যি, সত্যিই তা আমাদের সুরক্ষা দেবে।