এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল করার পর করোনার এই পুনরুত্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. হ্যান্স হেনরি ক্লুগে বলেছেন, ইউরোপের ১১টি দেশে সংক্রমণ এমনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে রোগটির 'অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুত্থান' দেখা যাচ্ছে।
দেশগুলো হলো- সুইডেন, ইউক্রেন, আলবেনিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বসনিয়া-হারজেগোভিনা, কাজাখস্তান, কসোভো, কিরগিজস্তান, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া এবং মলদোভা।
পুনরুত্থানের ঝুঁকি সম্পর্কে তার সতর্কতা বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইউরোপীয় অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়া মিলে গঠিত অঞ্চলে প্রত্যেকদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং প্রাণ যাচ্ছে ৭০০ জনের বেশি মানুষের।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ডা. হ্যান্স হেনরি ক্লুগে বলেন, দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনায় কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি করোনাভাইরাসের পুনরুত্থানের ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এই ঝুঁকি এখনও বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৩০টি দেশে ক্রমবর্ধমান হারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডা. হ্যান্স হেনরি ক্লুগে বলেন, স্কুল, কয়লা খনি এবং খাদ্য উৎপাদন স্থাপনায় বিপজ্জনক প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে পোলান্ড, জার্মানি, স্পেন এবং ইসরায়েল। পুনরুত্থানের সতর্কতা সত্ত্বেও তিনি বলেন, বেশিরভাগ দেশে গ্রীষ্মের সময় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ লাখ ২৩ হাজার ১৮৭ এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৫ জন।