চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই বায়োটেক কোম্পানির এটি দ্বিতীয় ভ্যাকসিন যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশাব্যাঞ্জক ফল দেখিয়েছে। এর আগে করোনার অপর একটি ভ্যাকসিনকে প্রাথমিক পরীক্ষার পর কার্যকর এবং নিরাপদ বলে দাবি করে সিএনবিজি।
বেইজিংভিত্তিক সিএনবিজি এই ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য দুই দফায় পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ১২০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীকে বেছে নিয়েছিল। প্রথম দফায় সব অংশগ্রহণকারীকে উচ্চমাত্রার এন্টিবডি প্রয়োগ করা হয়।
চীনের স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনবিজি। তবে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি তারা।
বিশ্বে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এখনও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন। দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি এবং গবেষকরা অন্তত আটটি ভ্যাকসিন দেশে এবং বিদেশে মানবদেহে পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফার্ম) সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিএনবিজি চলতি মাসের শুরুর দিকে জানায়, কোম্পানির উহানভিত্তিক শাখার তৈরিকৃত আরেকটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষায় আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি মানব দেহে উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। প্রাথমিক ফলাফলে এটি নিরাপদ এবং কার্যকর।
কোনও ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে বাজারে আসার আগে সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা উতড়ে যেতে হয়। তৃতীয় ধাপে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। গত মঙ্গলবার সিএনবিজি জানায়, করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা সংযুক্ত আরব আমিরাতে চালানো হবে। তবে সেটি কোন ভ্যাকসিন সেবিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি চীনা এই কোম্পানি।