ইইউ এক্সিকিউটিভ ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ গ্লোবাল সিটিজেনের যৌথ উদ্যোগে ৪০টি দেশের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা ও ইইউসহ বেশ কয়েকটি দেশ ওই অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষা-চিকিৎসা ও টিকা উদ্ভাবনে এই তহবিল ব্যয় করা হবে। ভ্যাকসিন যখনই তৈরি হোক না কেন, তা সবাই যেন পায়, সেটি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন বিশ্ব নেতাদের অনেকে।
সম্মেলনে জোরালোভাবে উঠে এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড মোকাবিলার বিষয়টিও। সম্মেলনের অংশ হিসেবে একটি ভার্চুয়াল কনসার্ট বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে সম্প্রচারিত হয়, যাতে মাইলি সাইরাস, জাস্টিন বিবার, শাকিরা, ক্লোয়ি এক্স হল ও আশারসহ অনেক খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী অংশ নেন।
করোনা তহবিলে প্রতিশ্রুত অর্থের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক যৌথভাবে ৫৫০ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, জার্মানি ৩৮ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, কানাডা ২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং কাতার ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ওই সম্মেলনে অংশ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, কার্যকর ভ্যাকসিন যখনই আবিষ্কার হোক না কেন, বিশ্ব নেতা হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো- সত্যিকার অর্থে সবাই যাতে এটা পায়, তা নিশ্চিত করা। মহামারি প্রকোপ শুরুর পর আক্রান্ত দেশগুলোর অন্যতম ইতালিও একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ একযোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘স্বার্থপরতা প্রত্যাখ্যান করে আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যাই। বিশ্বের সর্বত্র যাতে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছাতে পারে, সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন বলেন, ‘যাদের প্রয়োজন তাদের সবার ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু উন্নত নয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোও যাতে ভ্যাকসিন পায়, তা উচ্চ আয়ের দেশগুলিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এটি আমাদের সংহতির জন্য বড় পরীক্ষা।’