বুধবার বোস্টনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে দায়ের করা মামলায় গত ৬ জুলাই ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া ঘোষণা স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে। ওই ঘোষণাকে বেআইনি আখ্যা দেওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে এসব বিশ্ববিদ্যালয় যদি শুধু অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে এসব শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৬ জুলাই মার্কিন প্রশাসনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে অন্যথায় তাদের ফেরত পাঠানো হবে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি।
আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দাবি, তারা গত মার্চ থেকে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের নীতির ওপর থেকে নির্ভর করে আসছে। ওই নীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান ও নতুন শিক্ষার্থীদের সেদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের এফ- ভিসা দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক আদেশ অনুযায়ী যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ ক্লাস অনলাইনে চলবে সেগুলোর শিক্ষার্থীরা এফ-১ ভিসা পাবে না, এবং এফ-১ ভিসা থাকলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।
অনেকেই মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খুলে দিতে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে নতুন আদেশ জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস চালু করেছে। বসন্তকালীন সেমিস্টারের সব ক্লাস অনলাইনে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করেন ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্তকে অদ্ভূত বলে আখ্যা দেন তিনি।