ষষ্ঠ শতাব্দিতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে হাজিয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯৩৪ সালে সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো- ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।
গত মে মাসে ইস্তাম্বুল বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান হাজিয়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করেন। ওই সময় এটিকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস ও রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা শুরু করে।
শুক্রবার আদালত ১৯৩৪ সালের সেই ডিক্রিকে বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের আর কোনো বাঁধা রইল না এরদোগান প্রশাসনের।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, হাজিয়া সোফিয়ার একটি ডিক্রি তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার টুইটারে শেয়ার করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হাজিয়া সোফিয়া আগামী ১৫ জুলাই মুসলিমদের প্রার্থনার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।