এর মধ্য রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, চাকরিজীবনে দুবার এই সুবিধার সুযোগ ও ছুটির সময়ে স্বাভাবিক বেতন-ভাতা। ছুটির কারণে কারও বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে অবনমন করা যাবে না। আগের বছরের বার্ষিক মূল্যায়ন বা পূর্ববর্তী তিন বছরের মধ্যে যেটি অধিকতর উত্তম, তাই বিবেচনায় নিতে হবে। মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিধান মানতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সামগ্রিকভাবে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। ফলে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও শিক্ষাসহ নারী উন্নয়নের বিভিন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ জন্য সরকারের মাতৃত্বকালীন ছুটিসংক্রান্ত বিধিমালার আলোকে সব ব্যাংককে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নীতিমালা অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হলো।
এর আগে ২০১৩ সালে মার্চেও বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ নির্দেশনা জারি করেছিল। তবু ব্যাংকগুলো মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করায় আবারও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।