পাশাপাশি জুলফিকারের বন্ধুরা কেনিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জুলফিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। তবে জুলফিকারের পরিবারের দাবি, ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করেও তাঁরা কোনো ফল পায়নি।
বাধ্য হয়ে তাঁরা অনলাইনে প্রচার শুরু করেছেন।
বালাজি টেলিফিল্মসের প্রাক্তন সিইও জুলফিকার নিখোঁজ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাই মাসে কেনিয়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিখোঁজ হয়েছিল। ভারত এই বিষয়ে কেনিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের নাম জুলফিকার আহমেদ খান এবং জায়েদ সামি কিদওয়াই।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন জুলফিকার। সূত্র অনুযায়ী, তিনি চলতি বছরের মে মাসে পদত্যাগ করার আগে বালাজি টেলিফিল্মসের চিফ অপারেশন অফিসার (সিওও) হিসাবে সর্বশেষ কাজ করে গিয়েছেন। জুলাই মাসে, কেনিয়াতে ছুটিতে গিয়েছিলেন জুলফিকার। তিনি ভ্রমণ করতে খুব ভালোবাসতেন।
২৪ জুলাই তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। তিনি দেশে না ফিরলে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, তাঁরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরিচালক-প্রযোজক একতা কাপুর সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং জুলফিকার আহমেদ খানকে খুঁজে পেতে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে একটি পোস্টও লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, আমাদের বালাজিফিল্মস-এর সাবেক চিফ অপারেশন অফিসার প্রায় তিন মাস আগে নাইরোবি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আমি সরকারকেকে দয়া করে এটি দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।