টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্থায়ী ও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলো ফিরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনুরোধের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। এসব অনুরোধকারীদের মধ্যে আছেন নামকরা সব বিশ্বনেতারাও। খবর আল-জাজিরার।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। টুইটারের মালিক হওয়ার পর ইলনকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, টুইটার এখন একজন বিবেকবান মানুষের হাতে গেছে। আমাদের দেশকে যারা সত্যিকার অর্থে ভালোবাসেন না এমন গোড়া বামপন্থী ও উন্মাদরা আর এটির কর্তৃত্বে থাকবেন না।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান এক টুইটে ইলনকে স্বাগত জানিয়ে লেখেন, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ও মতাদর্শিক একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় ইলন মাস্ককে শুভ কামনা। তাছাড়া ইউক্রেনে স্টারলিংকের সার্ভিস বন্ধ রাখায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।
অন্যরাও ইলনকে তাদের অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে জারি করা শাস্তিগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। ডোলান্ড ট্রাম্পের এক সমর্থক তার একটি ‘ভুয়া’ অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে এ ধরনের শাস্তিগুলোকে ‘ছায়া নিষেধাজ্ঞা’ বলে আখ্যা দেন।
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত রুশ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ‘আরটি’র প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ান ইলনকে আরটি ও স্পুটনিকের নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলো পুনরায় সচল এবং তার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেও ছায়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেন।
এদিকে, কানাডা প্রাউড নামের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখে- ইলন তুমি এখন টুইটারের মালিক। তুমি কী জাস্টিন ট্রুডোর অনলাইল সেনসরশিপ বিল সি-১১ এর বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের সাহায্য করবে?
এত এত দাবি-দাওয়ার বিপরীতে ইলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় লেখেন, এ সবকিছুই প্রথমবারের মতো শুনছি আমি। প্রতিটি বিষয় খুব গভীরভাবে দেখবো।
অনেকের ধারণা, অনুরোধের এমন জোয়ার ইলনের সামনে থাকা টুইটারকে সংকট থেকে তুলে আনা ও বাকস্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তুলছে।