বিশ্ব অর্থনীতির ধীরগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থা। তবে চীনা বাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ায় তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করছে এসব প্রতিষ্ঠান। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানান, অর্থনৈতিক সূচকগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির হার আরো হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল আনহুই প্রদেশে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জর্জিয়েভা বলেন, চীনের কভিড নীতির শিথিলতা দেশটির অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে।
বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ থাকলেও আগামী বছর তা কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে যাবে বলে আভাস দিয়েছে আইএমএফ।
বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংকের প্রধান ডেভিড ম্যালপাস বলেন, আমি অত্যন্ত চিন্তিত, বিশ্ব অর্থনীতি হয়তো মন্দার দিকে ঝুঁকবে। ম্যালপাসের মতে, বিশ্বকে স্থবিরতা থেকে বের করার জন্য আরো অনেক কিছু করতে হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকনজো-ইওয়ালা জানান, বৈশ্বিক বাণিজ্য বাস্তব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির গতি কমে যাচ্ছে। তিনি ধারণা করছেন, চলতি বছরের বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য পণ্য বাণিজ্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে আগামী বছর মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ম্যাথিয়াস কর্মান বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তিনি চীনের কভিডসংক্রান্ত কিছু নিয়ম শিথিলকরণের বিষয়টিকে স্বাগত জানান।
আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ঋণ কমানোর বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং তিনি ভবিষ্যতে আরো কৌশলগত ঋণ প্রদানের সম্ভাবনা দেখছেন।
বৈঠকটি প্রতি বছর চীন কর্তৃক আয়োজিত আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ওসিইডি, ডব্লিউটিওসহ বিশ্বের ছয়টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে আলোচনার অংশ ছিল।