দক্ষিণ এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় পতন

দক্ষিণ এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় পতন

গত সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজারে।


দক্ষিণ এশিয়ার বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভারতের বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক বিএসই সেনসেক্স এক সপ্তাহের পতনে ৬০ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি হারিয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ পয়েন্ট। এছাড়াও দেশটির ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি-৫০ গত সপ্তাহে ৪৭২ পয়েন্ট কমেছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ১৭ হাজার ৮০৬ পয়েন্টে।


পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘কেএসই ১০০’ গত সপ্তাহে ১ হাজার ৬৩২ পয়েন্ট হারিয়েছে। এক সপ্তাহের পতন শেষে সূচকটি ৩৯ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।


শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজারেও গত সপ্তাহে বড় পতন হয়েছে। কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘এএসপিআই’ এক সপ্তাহে ১৭৩ পয়েন্ট কমেছে। এছাড়াও ভূটানের শেয়ারবাজারের সূচক ‘বিএসআই’ ১২ পয়েন্ট এবং নেপালের ‘এনইপিএসই’ গত সপ্তাহে ১৫ পয়েন্ট হারিয়েছে।


এদিকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সব মূল্যসূচকও কমেছে। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই পতন দেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।


এদিকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও বিদায়ী সপ্তাহে পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ পাঁচ কার্যদিবসে ৫৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট হারিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন কমেছে ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছড়াও এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা।


গেল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসই (রোববার) পতন দিয়ে শুরু করে শেয়ারবাজার। সেদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট হারায়। এরপরের তিন কার্যদিবসেও সূচকটি হারায় ৪৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার নামমাত্র উত্থানে সূচকটিতে যোগ হয় ৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। সবমিলিয়ে সপ্তাহজুড়ে ‘ডিএসই এক্স’ হারিয়েছে ৫৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে।


প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও কমেছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসই এস’ ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস ৩০’ সূচক এক সপ্তাহে ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমেছে।


গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সপ্তাহজুড়ে এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার।


গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬৭ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার টাকা।


এক সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজারে ৪০০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ১৪৭টির, বিপরীতে মাত্র ১৯ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ১৯ কোম্পানি গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়নি।


অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গত সপ্তাহে পতন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক ‘সিএএসপিআই’ এক সপ্তাহে ১১৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট হারিয়েছে।


সপ্তাহজুড়ে সিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬১ কোটি ৯ লাখ টাকায়।


গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এক সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ৫২ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী