এ অবস্থায়ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ আশঙ্কা করা হয়েছিল, বেকারত্ব ঠিক ততটা বাড়েনি। কারণ অধিকাংশ কোম্পানিই তাদের কর্মীদের সরকার সমর্থিত ফার্লো স্কিমের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অক্টোবরে এ স্কিম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মসংস্থানের ওপর সত্যিকার পূর্ণ প্রভাব বোঝা যাবে না।
ওএনএস জানিয়েছে, কাজ করা হয়েছে এমন গড় কর্মঘণ্টার সংখ্যা যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিকভাবে কমে বার্ষিক ও প্রান্তিকীয় হিসাবে রেকর্ড নিম্নে এসে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটির সহকারী জাতীয় পরিসংখ্যানবিদ জনাথন অ্যাথো বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৪ কিংবা তার কম বয়সী তরুণ কর্মীরা। একই সঙ্গে বয়স্ক ও কম দক্ষতাপূর্ণ কাজ করেন, এমন কর্মীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। কারণ এ ধরনের কর্মীদের পক্ষে অন্যদের তুলনায় নতুন কোনো চাকরি খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।
ওএনএস আরো জানায়, বর্তমানে ছুটিতে থাকাসহ বহু মানুষ সাময়িকভাবে কাজ থেকে দূরে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জুনে এদের সংখ্যা পৌঁছে ৭৫ লাখে, যাদের মধ্যে তিন মাস বা তারও অধিক সময় ধরে কাজ থেকে দূরে থেকেছে ৩০ লাখেরও বেশি। এছাড়া জুনে আরো প্রায় তিন লাখের মতো মানুষ মহামারীজনিত কারণে কোনো ধরনের মজুরি ছাড়াই কাজ থেকে দূরে থেকেছে।
ইকুয়ালস মানির প্রধান অর্থনীতিবিদ জেরেমি থমসন-কুক বলেন, বেকারত্ব নিয়ে নতুন এ উপাত্ত দুটি বিষয় নিশ্চিত করছে। এর একটি হলো সরকারের ফার্লো স্কিম চাকরি হারানোদের সত্যিকার সংখ্যা কার্যকরভাবে হ্রাস করতে পেরেছে। তবে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মহামারীর কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত তাদের পরবর্তী করণীয় ভূমিকা খুঁজে পাননি। ফলে ধারাবাহিকভাবে কর্মসংস্থানের পতন অব্যাহত ছিল। এ অবস্থায় পরিসংখ্যানগত ও অর্থনৈতিকভাবে সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীলদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় অপেক্ষা করছে অক্টোবরে। কারণ ওই মাসেই শেষ হতে যাচ্ছে ফার্লো স্কিম।