কয়েকদিন আগে মার্কিন বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ারবাজারে আদানি গ্রুপের টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দ্রুত কমতে থাকে শেয়ারের দাম। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দিনে প্রায় ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয় আদানি গ্রুপ। সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী আদানির সম্পদ ৭ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার।
বুধবারও পুঁজিবাজারে বড় আকারের দরপতনের মধ্য দিয়ে গেছে আদানিনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো। একইসঙ্গে কমেছে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদ। দিনের শুরুতেই আদানিকে টপকে ফের শীর্ষে উঠে আসেন মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এ প্রধানের ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ৮ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার।
ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর এ তালিকায় ১৫ তে অবস্থান করছেন আদানি। গতকালও শীর্ষ দশের ভেতরে অবস্থান করছিলেন ভারতীয় এ ধনকুবের। এদিকে শীর্ষ ধনীর তালিকায় আজ শীর্ষ নবম স্থানে উঠে এসেছে মুকেশ আম্বানি।
হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিলেন আদানি। গত কয়েক কর্মদিবসে আদানি গ্রুপের শেয়ারদরে পতনের পাশাপাশি আদানির সম্পদও কমেছে।
গত কয়েক মাসে আরো কয়েকজন বিলিয়নেয়ারের সম্পদ কমেছে। সম্পদ হারানোয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা নিয়েছেন টেসলা প্রধান ইলোন মাস্ক। চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার খুঁইয়েছেন টুইটারের বর্তমান প্রধান। মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ও এফটিএক্সের স্যাম ফ্রিডম্যান-রিচের ব্যক্তিগত সম্পদও কমেছে।
২০২২ সালে আদানির সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ২২০ কোটি ডলার। এর মাধ্যমে তিনি বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটকে ছাড়িয়ে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নেন। বছর শেষে আদানির সম্পদ দাঁড়িয়েছিল ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদ/এসএম