হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট সোমবার তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বস্তুত, ওই দিন দেশটির পার্লামেন্টে একটি ভোটাভুটি হয়েছে। সেখানে ফিনল্যান্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছেন অধিকাংশ এমপি। ১৮২ জন এমপি ফিনল্যান্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিরোধিতা করেছেন মাত্র ছয়জন। সকলেই ভোটে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে দেশের শাসকদল ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে নানা আলোচনা করছিল। একসময় মনে হচ্ছিল, শাসকদলের মধ্যে এনিয়ে দ্বিমত আছে। এবং এর ফলে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হলে তা ফিনল্যান্ডের পক্ষে যাবে না। কিন্তু বাস্তবে সে ঘটনা ঘটেনি।
এদিন হাঙ্গেরির সিদ্ধান্তের পর ফিনল্যান্ডের আর কেবল একটি দেশের সমর্থন লাগবে। তুরস্ক এখনও ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি। ন্যাটোর নিয়ম হলো, নতুন সদস্যপদ দিতে হলে ৩০টি দেশকেই তা সমর্থন করতে হবে। ফিনল্যান্ডের কেবল তুরস্কের সমর্থন প্রয়োজন।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোয় যোগদানের প্রস্তাব দেয়। এর আগে তারা ন্যাটোয় যোগদানে ইচ্ছুক ছিল না। বহু বছর ধরে তাদের নীতি, সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং শক্তিসাম্যের নীতি মেনে চলা। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণের পর তারা সেই নীতি থেকে সরে আসে এবং ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কথা জানায়।
ফিনল্যান্ডের পথ অনেকটা সুগম হলেও সুইডেন এখনও সমস্যায়। তুরস্ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুইডেনকে তারা সমর্থন করবে না। সুইডেনের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তুরস্ককে আরও ইন্ধন দিয়েছে।
তুরস্কের বক্তব্য, তাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনকে সুইডেন সমর্থন করে। সুইডেন এই নীতির পরিবর্তন না করলে কোনোভাবেই তাদের ন্যাটোয় জায়গা দেওয়া হবে না। বস্তুত, ফিনল্যান্ডের জন্যও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে রেখেছে তুরস্ক।