গত বছর যুক্তরাজ্যের আবাসন খাত টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছে। এরপর বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে তার রেশ পড়ে খাতটিতে। ন্যাশনওয়াইডের মুখ্য অর্থনীতিবিদ রবার্ট গার্ডনার বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে আবাসন খাতের বাজারে গতি ফিরে পাওয়া কঠিন হবে। কারণ ভোক্তাদের আস্থা কমে গেছে এবং উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে পারিবারিক বাজেটও চাপের মধ্যে রয়েছে।’
বাড়ির দাম কমলে সাধারণত তাকে স্বাগত জানান প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনতে যাওয়া ক্রেতারা। যারা মহামারীকালে সম্পত্তির দামে বেশ উল্লম্ফন দেখেছেন। বর্তমান বাস্তবতা হলো, বাড়িভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। মর্টগেজ হারও ক্রেতাদের পরিকল্পনা ছাড়িয়ে গেছে। বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল ও খাবারের দাম ক্রমেই বাড়ছে, যা ভোক্তার ওপর আর্থিক চাপও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গত মার্চেই বাজেট রেসপনসিবিলিটি কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছিল, গত বছর থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ বাড়ির দাম ১০ শতাংশ কমবে। ন্যাশনওয়াইডের প্রতিবেদন বলছে, এরই মধ্যে দামের সর্বোচ্চ সীমা থেকে মার্চ পর্যন্ত কমে গেছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়ির দাম একবার কমলে তা আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগে। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর এখন পর্যন্ত উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাড়ির দাম আগের অবস্থায় ফেরেনি। তবে লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বাড়ির দাম ২০১৫ সাল পর্যন্ত তুলনামূলক দ্রুত এগিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএস