শারীরিক ও মানসিক নানান সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেখা করতে পারেননি জেসন। এমনকি ১১ বছর পর্যন্ত কথাও বলেননি তিনি। মূলত ছোট থেকেই অটিজম আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটেনি তার। সেই জেসনই ৩৭ বছর বয়সে হয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক।
ছোটবেলায় জেসনকে চিকিৎসকেরা জানান, তার সমস্যার জন্য তাকে রুটিন মেনে জীবন যাপন করতে হবে। কিন্তু সে কথা মানেননি জেসন। ছোটবেলায় জেসন তার রুমের দেয়ালে লিখে রেখেছিলেন তার স্বপ্নের কথা: ‘আমি অক্সফোর্ড কিংবা ক্যামব্রিজে কাজ করতে চাই’। সেই থেকে শুরু স্বপ্নের পথে চলা। জীবনের নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে অর্জন করেন সার্টিফিকেট। অর্জন করেন শারীরিক শিক্ষা ডিগ্রি। ২০১৬ সালে ‘লিভারপুল জন মুরস’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেন গবেষণা। ২০১৮ সালে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় এবং গ্লাসগোর ‘স্কুল অব এডুকেশন’ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক হন তিনি।
জেসন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অনুরপ্রেরণার কথা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জেল থেকে মুক্তি এবং ১৯৯৫ সালে রাগবি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম