ভাইরাল ঘটনা নিয়ে এবারই প্রথম কথা বলেছেন আলজেরিয়ার সেই ইমাম শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিড়ালের ঘটানটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা। আমিও চাচ্ছিলাম বিড়ালটি সেখানে থাকুক। বিষয়টি এভাবে সারা বিশ্বে প্রচার হবে তা আমার কল্পনাও ছিল না। তা নিয়ে আমি কোনো মিডিয়ার সঙ্গেও কথা বলিনি।
প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম বিড়ালসহ সব প্রাণীর প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি দেখানো মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত। মহানবী (সা.) বিড়াল প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের আশপাশে সব সময় ঘুরে বেড়ায়।’ যারা সুধারণা করে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
এদিকে এই ঘটনায় গত ৮ মার্চ শায়খ ওয়ালিদ মাহসাসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আলজেরিয়ার ধর্ম ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস আলজেরিয়ার বোরদজ বাউ অ্যারেরিদজ শহরের আবু বকর মসজিদে ইমাম। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিয়মিত বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। তার তারাবির নামাজের লাইভ ভিডিও ফেসবুকে সম্প্রচার হয়। গত ৪ এপ্রিল ভিডিওতে দেখা যায়, তারাবির নামাজ চলাকালে তার কাঁধে একটি বিড়াল উঠে বসে। এতে মোটেও বিরক্ত না হয়ে বরং তিনি বিড়ালের সঙ্গে খুবই বিনয়ী আচরণ করেন এবং কোরআন পড়া অব্যাহত রাখেন।