আলোচনার অগ্রগতি না হওয়া ভারতীয় আমদানিকারকদের জন্য বড় একটি ধাক্কা। তারা চেয়েছিলেন রাশিয়া থেকে আরো সস্তায় জ্বালানি তেল ও কয়লা আনতে। স্থায়ী রুপি পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে মুদ্রা বিনিময় খরচ কমানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা।
দুই দেশের মধ্যে উচ্চ বাণিজ্য ব্যবধানের কারণে এই সমস্যার উদ্ভব। চুক্তিতে পৌঁছালে বার্ষিক চার হাজার কোটি ডলারের বেশি রুপি মস্কোর কোষাগারে উদ্বৃত্ত থাকত। যা রাশিয়ার কাছে আকাঙ্ক্ষিত নয়।
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রুশ কর্তৃপক্ষ।
বৈশ্বিক রফতানিতে ভারতের অবদান মাত্র ২ শতাংশ। এ কারণে অন্যান্য দেশের জন্য রুপি জমা রাখার ততটা প্রয়োজন নেই।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ খুঁজছিল দিল্লি। বর্তমানে তাদের বেশিরভাগ বাণিজ্য হয় ডলারে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহামসহ অন্যান্য মুদ্রার ব্যবহার বাড়ছে।
আলোচনার সঙ্গে জড়িত এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া রুপিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। চীনা ইউয়ান বা অন্যান্য মুদ্রায় অর্থ দিতে চায়।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করেছে পাঁচ হাজার ১৩০ কোটি ডলারেরর পণ্য। যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক হাজার ৬০ কোটি ডলার।
ভারতের আমদানির বড় একটি অংশ ছাড়কৃত মূল্যে জ্বালানি তেল, যা ওই সময়ের মধ্যে ১২ গুণ বেড়েছে। একই সময়ে ভারত থেকে রফতানি আগের বছরের ৩৬১ কোটি ডলার থেকে সামান্য কমে ৩৪৩ কোটি ডলার হয়েছে।