হাইকোর্টে আইএলএফএসএল-এর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
হাইকোর্ট গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, এমডি, বহুল আলোচিত পিকে হালদারসহ ১৩ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সকল সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে পিকে হালদারের মা, স্ত্রী, ভাইসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ, সকল সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ এই ২০ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এবং তাদের গত ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের ৭ আমানতকারীর করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের কম্পানি আদালত। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আইএলএফএসএল-এর দুইজন পরিচালক আপিল বিভাগে আবেদন করলেও আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এ অবস্থায় পিকে হালদার দেশ থেকে পালিয়ে যান। তিনি বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি দেশে ফিরতে চান। এবিষয়ে আইএলএফএসএল-এর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, পিকে হালদার কানাডা থেকে আইএলএফএসএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আইএলএফএসএল-কে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়, আইএলএফএসএল-এর খেলাপি ঋন আদায়ে সহযোগিতা করতে তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে দেশে ফিরলে তাকে পুলিশি হেফাজতে না নিয়ে আদালতের হেফাজতে নেওয়া হয়-এমন নিরাপত্তা চান তিনি। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চান। ওই চিঠিও আদালতে উপস্থাপন করেন আইএলএফএসএল-এর আইনজীবী। পরে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট।