আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) পক্ষ থেকে ১৫ সপ্তাহ ধরে ১ হাজার ৩৬৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালানো হয়।
জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকরা চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত; অংশগ্রহণকারীদের তিন-চতুর্থাংশ নারী, যেটি পুরো গার্মেন্ট খাতের প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। এসব তথ্য জুলাই মাসে সংগ্রহ করা হয়।
জরিপে উঠে এসেছে, পোশাক শ্রমিকরা একাধিকবার অভিবাসন বা জায়গা বদল করেছেন। শ্রমিকরা তাদের বাড়িতে যে অর্থ পাঠান তার নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন যে, বাড়িতে পাঠানো তাদের উপার্জিত অর্থ কীভাবে খরচ হবে তা নির্ধারণ করেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ৪২ শতাংশ জানিয়েছেন তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ অন্তত একবার হলেও অভিবাসন করেছেন। এদের মধ্যে ৯১ শতাংশ নারী ও ৮৩ শতাংশ পুরুষ।
জরিপে অংশ নেয়া ৮১ অভিবাসী শ্রমিক জানিয়েছেন, শুধু চাকরির জন্য অভিবাসন হয়েছেন। এর মধ্যে চাকরির জন্য অভিবাসীদের ৬৪ শতাংশ একবারই অভিবাসন করেছেন, ২৪ শতাংশ দুবার এবং ১২ শতাংশ জানিয়েছেন তারা তিন বা তারও বেশি অভিবাসন করেছেন।
বাড়িতে পাঠানো অর্থ কীভাবে খরচ হবে সেটি কে নির্ধারণ করেন, এ প্রশ্নে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশ উত্তর দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন যে এ সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের অন্য সদস্য, ৪২ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন যে কোভিড-১৯ সংকট তাদের জীবিকার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। বাকি সবাই জানিয়েছেন যে এ সংকটে তাদের জীবিকায় কিছু না কিছু প্রভাব পড়েছে।