আন্তর্জাতিক আর্থিক এই প্রতিষ্ঠান (আইএমএফ) বলছে, ১৯৯০-এর দশক থেকে চীন এবং ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সুস্পষ্ট হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশে প্রবেশ করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি বিশ্বের সর্বোচ্চ অর্থনীতির ষষ্ঠ নম্বরে চলে আসবে।
এশিয়ার মিডল ক্লাস
জাপান বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ অর্থনীতি থেকে সরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া সাতে গিয়ে থামতে পারে। এসব পরিবর্তন কোম্পানি, সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নতুন সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যাবে। এশিয়া মহাদেশের জিডিপি পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হলো এশিয়ান মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি। একবিংশ শতাব্দী ধরে চীন বাজার প্রবৃদ্ধির একটি মানদণ্ড ছিল। কিন্তু দেশটিতে এখন বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা দেশটিতে উপযোগ কমাবে। আসন্ন বছরগুলোতে ফিলিপাইন এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
২০২৮ সালের শীর্ষ অর্থনীতির ১০ দেশ হবে যেগুলো
ক্রয়ক্ষমতার মানদণ্ড তথা জিডিপির ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যে দেশগুলো শীর্ষ ১০-এ থাকবে সেগুলো হলো–চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য।
আইএমএফের ডাটা অনুসারে, ছয়টি শীর্ষ দেশের মধ্যে চারটিই হবে এশিয়ার। সেগুলো হলো- চীন, ভারত, জাপান ও ইন্দোনেশিয়া।
১৯৯২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশ ছিল যথাক্রমে– যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, রাশিয়া, চীন, ইতালি, ফ্রান্স, ভারত, ব্রাজিল এবং যুক্তরাজ্য। ২০১০ সালে শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশ ছিল যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি, রাশিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি।
অর্থসংবাদ/এসএম