ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেজোস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চাইলেও এক মাস আগেই তা নাকচ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন?
আমাজন ভারতে কম দামে পণ্য বিক্রি করে। মোদি সরকারের ধারণা, এর কারণে তার দেশের দোকানদার, ছোট ব্যবসায়ী থেকে শিল্পমহল পথে বসছে। পাশাপাশি জেফ বেজোসের মালিকানাধীন মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের সমালোচনাও মোদি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের পছন্দ হয়নি। এই দুইয়ের জেরে এমন সিদ্ধান্ত।
দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলছিলেন, ‘আমাজন আগামী পাঁচ বছরে ১০০ কোটি ডলার লগ্নির কথা বলে ভারতকে কৃতার্থ করছে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সেদেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। পীযূষের মন্তব্যে ভারতের শিল্পমহলও খুশি হয়নি।
পীযূষ গত কাল যুক্তি দিয়েছিলেন, প্রচুর ছাড় দিয়ে পণ্য বেচতে গিয়ে বিপুল ক্ষতি পুষিয়ে দিতেই আমাজন ১০০ কোটি ডলার লগ্নি করছে।
আমাজন কর্ণধার বিবৃতি দিয়ে আবার বলেন, আগামী পাঁচ বছরে তারা যে ১০০ কোটি ডলার লগ্নি করবেন, তাতে ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হবে।
বেজোসের এই দাবি সত্ত্বেও পিছু হটছে না মোদি সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রীর যুক্তি, আমাজনের মতো বিদেশি সংস্থাকে শুধু নেট-বাজার বা কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুচরো ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অ্যামাজনবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।